ল্যাপটপ কেনার আগে আমাদের ল্যাপটপ সম্পর্কে ধারণা খুবই অল্প থাকে।সাধারণ ধারণা নিয়েই আমরা নতুন কিংবা পুরনো ল্যাপটপ কিনে নিয়ে আসি।
এর ফলে কিছু দিন পর থেকেই এ সমস্যা ও সমস্যা হতেই থাকে। তখন শুধু আপসোস করতে হবে এবং ভাগ্য কে দোষ দিতে হবে।এমন বোকামি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
ল্যাপটপ কেনার আগে যে বিষয় গুলো অবশ্যই দেখে কিনতে হয়।
- Made in Country or Date
- Part Number (পার্ট নম্বর)
- Processor(প্রোসেসর)
- Operating System(অপারেটিং সিস্টেম)
- Graphic Card
- Memory
- Storage (স্টোরেজ)
- Display (ডিসপ্লে)
- Camera (ক্যামেরা)
- Batary (ব্যাটারি)
- Pen
- Keyboard
- Around Revise (সার্ভিক দিক দেখা )
চলুন বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই
1.Made in Country or Date:
প্রতিটা পন্য যে দেশর তৈরী তারা তাঁদেরই দেশের নাম প্রেজেন্ট করে। প্রতিটা laptop তৈরী করার সাথে সাথে নিদিষ্ট টাইম সেট করে দেওয়া হয়। টাইমটা কখনোই পাল্টানো যায় না।
তাই ল্যাপটপ কেনার আগে Made in Date দেখে কিনতে হবে। এইটা না দেখলে দোকানদার আপনাদের কাছে পুরাতন ল্যাপটপ ধরিয়ে দিতে পারে।
2.Part Number (পার্ট নম্বর):
প্রতিটা laptop (ল্যাপটপ) তৈরী করার পর নিদিষ্ট Part Number(যেমন: 20LMS09V00) সেট করে দেওয়া হয়। তাই ল্যাপটপ কেনার আগে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে কিনতে হবে।
3.Processor(প্রোসেসর):
প্রতিটা ল্যাপটপের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রংশের মধ্যে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রোসেসর। laptop (ল্যাপটপ) তৈরী করার পর কোম্পানি Processor দিয়ে থাকে (যেমন: Intel® Celeron® N4120 Processor (1.10 GHz up
to 2.60 GHz)) তাই কেনার আগে পরখ করে দেখেই কিনতে হবে।
4.Operating System(অপারেটিং সিস্টেম):
ল্যাপটপটি কোন অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে সেটা জানা অত্যান্ত জুরুরি।
অপারেটিং সিস্টেম ভার্সন কত সেটা জানে রাখা টাও বেশ জুরুরি।
ল্যাপটপে Windows অপারেটিং সিস্টেমে বেশ সহজ। ল্যাপটপ কেনার আগে অপারেটিং সিস্টেম দেখে কিনতে হবে।
5.Graphic Card:
প্রতিটা ল্যাপটপে নিদিষ্ট Graphic Card রাখা হয় (যেমন: Integrated
Intel® UHD Graphics 600) সেট করে দেওয়া হয়। ল্যাপটপের সাথে বিল্ট-ইন থাকে। প্রয়োজনে Graphic Card বাড়ানো সম্ভব।
6.Memory:
ল্যাপটপে মেমোরি কত সেইটা দেখে কিনতে হয়। (যেমন 4 GB DDR4-
2400MHz) (Soldered)।
7.Storage (স্টোরেজ):
ল্যাপটপে কেনার আগে বেশি বেশি স্টোরেজ দেখেই কিনতে হবে।
ল্যাপটপে যত বেশি Storage থাকবে তত বেশি ছবি, ভিডিও ও ডকুমেন্টস রাখতে পারবেন।
স্টোরেজ ল্যাপটপের সাথে সংযুক্তি বা বিল্ট-ইন থাকে।তাই স্টোরেজ বেশি থাকা ভাল।
8.Display (ডিসপ্লে):
এখন বাজারে নানা ক্যাটাগরির ডিসপ্লে পাওয়া যায়। কোনটা সুপার এ.লি.ডি ডিসপ্লে আবার কোনটা নন এ.লি.ডি ডিসপ্লে।এ.লি.ডি ডিসপ্লে চোখের ক্ষতি কমাতে সাহায্য করবে।
কোনটাই রেজুলিউশন হাই এবং কোনটাই রেজুলিউশন লো। ল্যাপটপের ডিসপ্লের সাইজ ছোট বড় হয়ে থাকে।আপনার চাহিদা মোতাবেগ দেখে কিনতে হবে।
9.Camera (ক্যামেরা):
ল্যাপটপে ক্যামেরার কাজ খুবই কম। এর মানে এই নয় গুরুত্ব না দিয়ে যাচাই বাছাই না করে কিনে নিয়ে আসেন তাহলে লস করবেন।
ল্যাপটপ কেনার আগে ক্যামেরার কন্ডিশন দেখে কিনতে হবে।
10.Batary (ব্যাটারি) : ল্যাপটপ কিনতে চাইলে ল্যাপটপের ব্যাটারি আগে ভাগে খতিয়ে খতিয়ে ভালো ভাবে চেকিং করে নিতে হবে।
ব্যাটারি কত ক্ষমতাসম্পূর্ণ দীর্ঘ স্থায়ী চার্জ ধারন ক্ষমতাসম্পূর্ণ কিনা, ব্যাটারি mAh কত। ব্যাটারীর mAh বেশি দেখে কিনতে হবে।
11.Final Task (চুড়ান্ত পর্যবেক্ষন):
সাধারণত ল্যাপটপে উল্লেখিত যন্ত্রাংশ ছাড়াও আরো অনেকগুলি যন্ত্রাংশ থাকে
যেমন বাটন, চার্জার ঘাট, বিভিন্ন পোর্ট,স্পিকার,ফিঙ্গার সেন্সর, টাচস্ক্রীন, ফ্রাশ লাইট ইত্যাদি বিষয় গুলো ল্যাপটপ কেনার আগে বাবা বার পর্যবেক্ষন করে নেওয়া উচিৎ।
• দিকনির্দেশনা :
ল্যাপটপ হাতে নেওয়া মাত্র উপরে উল্লেখিত বিষয় গুলো ধারাবাহিক ভাবে ধীরে সুস্থে দেখবেন।
তাহেলে আশা করা যেতে পারে ল্যাপটপ ভালো হবে,টেকসই হবে। আপনারা লস হবে না।ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, সচেতন থাকুন।
মোবাইল ফোন কেনার আগে যে বিষয় গুলো অবশ্যই দেখেতে হয়।